আসছে বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আশ্বিন নির্মল নীল আকাশ ,প্রকৃতির সবুজের সমারোহে সাদা কাশফুল ,শিউলির মন ভুলানো সুগন্ধ ,ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগরের ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। এবার দুর্গা দেবী আগমন করতেছে। দেবীর আগমন দোলায় , দেবীর ঘোটকে গমন করবে বলে জানা যায়।
আগামী ২২ আশ্বিন , ১৪৩১ বাংলা, ৯ অক্টোবর (বুধবার) মহাষষ্ঠীর মধ্যে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। সারা দেশের মতো প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন মির্জাপুর সদর উপজেলায় মোট (২০৮টি) পূজা মণ্ডপ। এ উৎসবকে ঘিরে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে পাশাপাশি চলছে মণ্ডপ সাজানোর কাজ। এখন শারদীয় উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
শাস্ত্রমতে এবার দেবীদুর্গা দোলায় আগমন করে ঘোটকে চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রুপ দিতে রাতভর করছেন প্রতিমা তৈরির কাজ।নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা।পূজার সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায় , মন্ডপে মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।প্রথম পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে মন্ডপগুলোতে দূর্গা প্রতিমার মাটির কাজ শুরু করেছে।শেষ পর্যায়ে মূর্তিতে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ চলবে। অন্য দিকে সাজসজ্জা ,আলোকসজ্জা , প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকোরেশন সহ অন্যান্য কাজগুলোও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।দূর্গা প্রতিমা ছাড়াও মন্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে , লক্ষ্মী ,সরস্বতী ,কার্তিক ,গণেশ , অসুর ,সিংহ ,মহিষ ,পেঁচা ,হাঁস ,সর্পসহ প্রায় ১২ টি প্রতিমা। মির্জাপুর পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড এলাকার মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কারিগর শংকর পাল জানায় যে , টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজা দানবীর রণাদা প্রসাদ সাহা পারিবারিক নাথ মন্দিরে , লাখো মানুষ এই পূজা উপভোগ করে।
এই বছর ১৩ টি প্রতিমা বানানোর কাজ নিয়েছি। বিগত ৪১ বছর ধরে প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। এখন মাটির ফিনিশিংয়ের কাজ করছি , এরপর রংয়ের কাজ করবো।