মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য শরীফুল রহমান শরিফের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শরিফ তরফপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অনুস্ঠানে হামলা,মামলা , করে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করত।

এবিষয়ে হাজী শাহাবুদ্দিন বলেন,তরফপুর ইউনিয়নের অনেক মানুষ তার কাছে নির্যাতিত হয়েছে তার মধ্যে লাকিব,আজিজ রেজা, ধানচালার শওকত মোমেন,তরফপুরের নাজিম মেম্বার, এদের উপরেও আক্রমণ করেছে । সাধারণত জনগণের কাছে চাঁদা দাবি, কেউ কথা না শুনলে তার উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতো প্রশাসনে কে কাজে লাগিয়ে । তার কিছু গুন্ডা বাহিনী নিয়ে এলাকায় রাজত্ব চালাইত। গত ৫ ই আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পর শরিফের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে ৮ ই আগস্ট তরফপুর ইউনিয়নের গাজেশ্বরীর ইজ্জত আলীর জনির অফিস ভাঙচুর করে তিন চার লাখ টাকার মালামাল,ওয়াইফাই নেট কানেকশন বন্ধ করে , নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এতে পাথরঘাটা এলাকায় আতঙ্ক হয়ে পড়ে সাধারণ জনগণ অনিরাপদে ভুগছে।

এবিষয় ইজ্জত আলী জনি বলেন, শরিফ আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে আমি অস্বীকার করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এলাকায় বিভিন্ন অকারেন্সের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম বলে ৮ ই আগস্ট তার গুন্ডা বাহিনী ও শরীফ নিজে আমার অফিস ভাঙচুর করেছে। তাই জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। যাতে করে তরফপুর ইউনিয়নে শরীফের গুন্ডা বাহিনী, চাঁদাবাজি না করতে পারে। দলকে ব্যবহার করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কিছু লোককে মারধর করেছে এমনও প্রমাণ আছে এটা তো তরফপুর ইউনিয়নবাসী জানে। তাই এলাকাবাসীর কাছে চাওয়া আপনারা যদি আমার পাশে থাকেন তাহলে এরকম বিশৃঙ্খলা পাথরঘাটায় আর হবে না।

শরিফুর রহমান শরিফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।