বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের মাসুয়াখালী আর্শ্বেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতারণা সহ শিক্ষকে শারীরিক লাজ্জিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বেচ্ছাচারিতা করে ৫টি পদে নিয়োগের নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য এবং চাকরি দেয়ার নামে জমি ও টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, ২০১৩ সালে এনটিআরসিএ নিয়োগ প্রক্রিয়া নেওয়ার পূর্বে বাংলা কৃষি ও অফিস সহকারি পদে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এবং কিছুদিন পূর্বে দপ্তরি আয়া নস্যপ্রহরী এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ এবং ৫ কাঠা জমি লিখে নেন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কাছে থেকে মোট ৪৫ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন অত্র মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোঃ আঃ মান্নান তিনি আরো জানান মাদ্রাসার সুপার পরীক্ষার ফি ফরম ফিলাপ টাইম স্কেল এবং উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করলে সুপার প্রকাশ মাদ্রাসার অফিস রুমে আমাকে কিল ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল ওয়াহাবের কাছে জানতে চাওয়া হলে ৫ কাঠা জমি নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও আমতা আমতা করে অর্থ নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার সংবাদ মাধ্যমিকে জানান মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি প্রয়োজনীয় আইনক ব্যবস্থা গ্রহণ করার হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল রহমান বলেন, আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান ‘নিয়োগের নামে প্রতারণা বা নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি আমাদের কাছে। অভিযোগ এলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।