ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদরে অবস্থিত উম্মে কুলসুম মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক ও দৈনিক ইনকিলাবের নান্দাইল প্রতিনিধি মাও. হাবিবুর রহমানের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এক নারীকে বেসরকারি চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
ইসলামি দ্বিনি প্রতিষ্ঠান মহিলা মাদ্রাসার প্রধান হয়েও ঘরে স্ত্রী রেখে অন্য নারীর সাথে এ ধরনের কুকর্ম করায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহল সহ সুধী সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ চতুর্থদিকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ওই কথিত মানবাধিকার কর্মী ও নামধারী সাংবাদিক মাও. হাবিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপাঁ দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ দিকে ভোক্তভোগী নারী কোন উপায় না পেয়ে নান্দাইল মডেল থানায় মাও. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ ধর্ষন মামলা দায়ের করে। জানাগেছে, মাও. হাবিবুর রহমান বাড়ি নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের বেতাগৈর গ্রামে। নিজ এলাকায় তাঁর বর্তমান স্ত্রীর (ছাত্রী)’র সঙ্গে কুকর্ম করে অবশেষে নান্দাইল উপজেলা সদর হাসপাতালের সামনে ভাড়া বাসায় থেকে উম্মে কুলসুম মহিলা মাদ্রাসা স্থাপন করে বেহাল তবিয়তে ছিলেন।
একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটনা ঘটানোর পরও নিজেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার পরিচয় দিয়ে মানুষ ভয়ভীতি দেখানোর কারনে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ইতিপূর্বেও নান্দাইল পৌরসভার বালিয়াপাড়া এলাকায় এক নারী সহ অনৈতিক কর্মকান্ডে জনতার হাতে ধরা পড়ে ছিল।
এছাড়া ওই মাওলানা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ও দুঃসাহস দেখিয়ে অসহায় দুঃস্থ অসহায় মানুষের জন্য সৌদি আরবের উপহার দুম্বার গোশতের দুই প্যাকেট (প্রায় ৪০ কেজি) নিজ ব্যক্তিগত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়ে যায়। এমনকি ওই গোশত তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে না দিয়ে নিজে ও তাঁর স্বজনদেরকে নিয়ে ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি/২৫ইং তারিখে দুপুর দিকে শিরিন রোজী নামে এক মহিলাকে ফাইনাল্যীভাবে স্থানীয় এক গার্মেন্টেসে চাকুরী দেবার কথা বলে নিজ মোটরসাইকেলে উঠিয়ে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠে। পরে সেখানে সে ওই নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। বর্তমানে ওই নারী কথিত সাংবাদিক মাও. হাবিবুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে উম্মে কুলসুম মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মাও. হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন এটাতো মীমাংসা হয়েগেছে। এছাড়া দুম্বার গোশতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটাতো আমি না, আরও অনেক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, তাদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন।পাশাপাশি এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ আহম্মেদ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।