1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
মির্জাপুরে নারীকে শ্লীলতহানি ও মারধরের মামলায় বাঁধন গ্রেফতার, পিস্তল ওসমান পলাতক মির্জাপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাবা নিয়ামতপুরে সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত মধুপুর ৪ মাসের সন্তান বিক্রি করে মোবাইল ফোন কিনলেন মা, উদ্ধার করল পুলিশ গাজীপুরের কাশিমপুরে ব্যাটারি ফ্যাক্টরিতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ভূরুঙ্গামারীতে জামায়াতের সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  আশুলিয়ায় ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়িকে তুলে নেয়ার চেষ্টা, যুবক আটক  কাঠালিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, দুই শিক্ষককে অব্যাহতি নিয়ামতপুরে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ গাজীপুরের ড্রিম ল্যান্ড গেস্ট হাউসে পুলিশের অভিযানে ১৪ জন আটক

হারিয়ে গেছে আশির দশকের সেই অডিও ক্যাসেট

হানিফ পারভেজ-বড়লেখা প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

আশির দশকের মাঝামাঝি ও নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশের তারুণ্যের মাঝে ছিল দারুণ এক

উত্তেজনা। অভাবনীয় উন্মাদনা। আর সে সময়টাকে অভিহিত করা যায় ক্যাসেট যুগ। মিউজিকের যুগ। ব্যান্ড এর যুগ হিসেবে। প্রায় পুরো তরুণ সমাজের চিন্তা জগতকে আছন্ন করে রেখেছিল ব্যান্ড মিউজিক। অল্প সময়ের মধ্যে শহর থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে
ব্যান্ড মিউজিক। গীটারের টুং টাং ধ্বনিতে মোহিত হত সে সময়ের তারুণ্য। গায়ে হলুদ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ, সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ব্যান্ড মিউজিক ছাড়া কল্পনাই করা যেত না।

আশির দশকে গ্রামীণ জনপদে টেলিভিশন তো নয়ই, রেডিও-টেপেরও খুব একটা প্রচলন ছিল না। দেখা গেল, গ্রামের কোনো এক বাড়িতে টেপে অডিও ক্যাসেট ঢুকিয়ে বাজানো হচ্ছে বাউলগান, যাত্রাগান, মালজোড়াগান অথবা কেচ্ছাকাহিনি। তো এটিকে কেন্দ্র করে জড়ো হতেন আশপাশের পাড়া-মহল্লার অসংখ্য শ্রোতা। বিশেষ করে কাজ শেষে সন্ধ্যার পর কিংবা বর্ষার অলস দুপুরে পানিবন্দী হাওরবাসীর কাছে এই টেপই ছিল বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। আর তাই যে গ্রামে টেপ অর্থাৎ ক্যাসেট প্লেয়ার রয়েছে, তাঁদের অলস সময়টুকু কাটত সেটির সাহায্যে গান, কেচ্ছা কিংবা লোকনাট্য শুনে শুনে। অনানুষ্ঠানিক উৎসব ছাড়াও গ্রামীণ বিয়ে কিংবা যাত্রীবাহী নৌকায় মাইকসহযোগে টেপরেকর্ডারের সাহায্যে এসব ক্যাসেট বাজানো হতো।

ক্যাসেট ছিল আমাদের গান শোনার একমাত্র ভরসা।অথচ আজ ক্যাসেট নেই বললেই চলে। সিডি, ডিভিডি দখল করে নিয়েছে ক্যাসেটের স্থান।তবে অনেক জনপ্রিয় এই সিডি ও ডিভিডিও নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারছেনা। প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কারের কারনে এগুলোও আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।

১৯৫৮ সালে RCA Victor প্রথম স্টেরিও ক্যাসেট আবিস্কার করেন যার সাইজ ছিল ৫”x৭” এবং এটি ছিল প্রি রেকর্ড করা তাই এটি ব্যার্থ হয়। ১৯৬২ সালে নেদারল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি ফিলিপস সর্বপ্রথম কমপেক্ট অডিও ক্যাসেট আবিস্কার করেন এবং বাজারজাত করেন।উন্নত মানের ১/৮ ইঞ্চি পলিষ্টার টেপ দিয়েই এটি তৈরি হয়। রেকর্ড ও প্লেব্যাক স্পিড ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.৭/৮ ইঞ্চি ।যখন ক্যাসেট পূর্নতা পায় তখন এর দুটি সাইডে ৩০/৪৫ মিনিট সময় প্লেব্যাক করা যেত।

এরপর ফিলিপস ও সনির যৌথ প্রচেষ্টা শুরু হয় ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। ১৯৮২ সালে এই দুই কোম্পানির যৌথ প্রচেষ্টায় সিডি আসে বাজারে। এর পর আমরা সিডির জনপ্রিয়তা দেখলাম। ক্যাসেট হারিয়ে গেল। সিডি বাজারের দখল নিল। এই সিডিও আজ প্রায় বিলুপ্ত প্রায়।সিডির ক্যাপাসিটি হচ্ছে ৭০০ MiB এবং সময়ের হিসেবে প্রায় ৮০ মিনিট।

এক সময়কার তুমুল জনপ্রিয় ক্যাসেট স্থান হারালো সিডি ও ডিভিডি আবিস্কার হওয়ার পর। আর প্রযুক্তির কল্যানে ও ইন্টারনেটের প্রসারে আমরা এখন অনলাইনে গান শুনি, মূভি দেখি। মোবাইলে গান শুনি, কেন সিডি কিনব? আর প্রযুক্তির সর্বশেষ সংযোগ এফ.এম রেডিও। বিশ্বব্যাপি এখন এফ.এম. রেডিওর জয়জয়কার। এক একটা মিউজিক ষ্টেশান এখন মানুষের পকেটেই থাকে।তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে অডিও ক্যাসেট হারিয়েছে তার দাপট। হারিয়ে গেছে আশির দশকের সেই অডিও ক্যাসেট।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট