ছাঁটাই হওয়া সবাইকে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় দ্য ড্রেস অ্যান্ড দ্য আইডিয়াস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার মালিকপক্ষ ‘কাজ না থাকায়’ সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ রোববার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) কারখানাটির পরিচালক লে. কর্নেল খালিক-উল-হাসানের সই করা এক নোটিশে কর্মীদের ছাঁটাইয়ের বিষয়ে মালিকপক্ষের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানায় কোনো কাজ না থাকায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্ব-বেতনে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কোনো কাজ জোগাড় করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ‘দি ড্রেস অ্যান্ড দি আইডিয়াস’ এর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ২০ ধারা অনুযায়ী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
ছাঁটাই হওয়া সবাইকে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে। যোগাযোগ করলে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কারখানাটিতে ৪০০ শ্রমিক রয়েছে। যতদূর জেনেছি কারখানাটিতে কাজ না থাকায় মালিকপক্ষ তাদের আশুলিয়ার জামগড়ার এই ইউনিটটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কারখানাটির ফিনিশিং সেকশনের সুপারভাইজার মো. জাহাঙ্গীর আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কারখানায় কাজ কম ছিল। তবে অন্য কোনো সমস্যা ছিল না। নিয়মিত শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হতো। কিন্তু কাজ না থাকার কথা উল্লেখ করে মালিকপক্ষ শুনেছি সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি মালিকের সাথে কথা বলার। কিন্তু উত্তরার হেড অফিসে অনেকবার গিয়েও মালিকের সাথে কথা বলতে পারিনি।
তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে ঈদের ছুটি নিয়ে জেনারেল ডিউটি করা নিয়ে শ্রমিকদের একটি অংশের সাথে মালিকপক্ষের মতানৈক্য তৈরি হয়। কর্তৃপক্ষ জেনারেল ডিউটি করতে বলেছিল শ্রমিকদের। কিন্তু শ্রমিকেরা জেনারেল ডিউটিতে রাজি ছিল না। সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারখানার কার্যক্রম চালু ছিল। ১২ তারিখ থেকে কাজ না থাকার কথা উল্লেখ করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ সবাইকে ছাঁটাই করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কারখানায় কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কর্মী আছে’, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় এভাবে কারখানা বন্ধ হচ্ছে। এভাবে কারখানা বন্ধ হওয়া, শ্রমিকেরা বেকার হওয়া একটি অশনিসংকেত।