1. info@www.jayjaysomay.com : দৈনিক যায়যায় সময় :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
আশুলিয়ায় ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়িকে তুলে নেয়ার চেষ্টা, যুবক আটক  কাঠালিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, দুই শিক্ষককে অব্যাহতি নিয়ামতপুরে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ গাজীপুরের ড্রিম ল্যান্ড গেস্ট হাউসে পুলিশের অভিযানে ১৪ জন আটক নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত আশুলিয়ায় ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  বরগুনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বৈশাখী উৎসবে চাঁদাবাজির অভিযোগ মির্জাপুরে মানববন্ধন শেষে বাড়িতে গিয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ: গ্রেপ্তার ৩ আশুলিয়ায় থাই অ্যালকোম্যাক্স পিএলসি কারখানায় অগ্নিকাণ্ড  টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৩ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল ছাত্রের মরদেহ

নান্দাইলে রানা হত্যার ৯ মাসেও চার্জশীট দাখিল হয়নি 

নান্দাইল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে চাঞ্চল্যকর রানা হত্যার ঘটনায় রহস্যের নতুন ধাপে নতুন মোড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এর পিছনে রয়েছে কিশোরগ্যাং চক্র ও একটি পরকীয়ার ঘটনা। এছাড়া রানা হত্যার মামলার বাদী ও বিবাদীর দায়ের করা ভাংচুর, লুটপাটের মামলাটিরও তদন্তভারের দায়িত্ব পেয়েছেন একই ব্যক্তি।

ফলে রানা হত্যার ঘটনার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আদালতে এখন পর্যন্ত চার্জশীট দাখিল করা হয়নি। শুধু তাই নয় রানা মৃত্যুর পূর্বে তাঁর একাধিক জবানবন্দির মধ্যে প্রথম জবানবন্দির ভিডিওটি কৌশলে গোপন করেছিল চক্রটি (হত্যকারী)।

পাশাপাশি হত্যার পর রানার মৃত্যু নিশ্চিত করতে কৌশল কাটিয়ে আহত রানাকে এক ঘন্টার রাস্তায় প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগানো হয়। এসময় একই গ্রামের দ্বীন ইসলাম আহত রানার সঙ্গে ছিল। তবে দ্বীন ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে রানার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে জানাগেছে। রানাকে হাসপাতালের কোন ডাক্তার দ্বারা মৃত্যু নিশ্চিত না করে, নিজেরাই মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রথমে থানায় চলে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার মৃত্যুর সার্টিফাইড করার জন্য নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে প্রেরন করেন।

ঘটনার পর থেকে সময় যতই অতিক্রম হতে থাকে, এধরনের নানা জটিলতায় রানা হত্যার ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন মোড় নিচ্ছে। বাদী ও বিবাদীর তদন্তকারী কর্মকর্তা একই ব্যক্তি হওয়ায় চার্জশীট প্রদানেও চলছে গড়িমসি। এরকমই অভিযোগ করেছেন, হত্যার দিন এলাকায় অনুপস্থিত থাকা শেরপুর জেলায় অবস্থানকারী তরিকুল ইসলাম। তরিকুল উক্ত মামলার ৩নং আসামি।

তিনি বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না, তারপরেও প্রকৃত অপরাধীরা নিজেদেরকে ছাপাতে আমাকে সহ এরকম আরও বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষকেও এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর বনাটি (গাঙ্গাইলপাড়া) গ্রামের হাসেম মিয়ার ছেলে রানা মিয়াকে (২৮) ২১ এপ্রিল /২৪ইং রাতে ধানক্ষেতে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরদিন নিহত রানার চাচাতো ভাই মাসুদ মিয়া ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন, যা বিচারাধীন।

রানা মারা যাওয়ার পর গ্রামের একটি চক্র প্রায় ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। জমি থেকে পাকা ধানও কেটে নেয়। এসব নিয়ে হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি হারুন অর রশিদের ভাই জাহাঙ্গীর আলম ৮০ জনকে আসামি করে ২৮ এপ্রিল একটি মামলা করেন, যা তদন্তাধীন। অন্যদিকে, হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি হারুন অর রশিদের স্ত্রী আয়শা আক্তার ২১ জুন ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। হত্যা ও আয়শার ভাঙচুরের মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম মিয়া। তবে আয়েশার করা মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও জানেন না মামলার বাদী।

এসব ঘটনায় পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ: সালাম। এছাড়া ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় পড়ে থাকা রানা তাঁর ওপর হামলাকারী তিনজনের নাম-পরিচয় বলে গেছেন, যার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। কিন্তু চক্রটি খুনের ঘটনা নিয়ে চক্রান্ত শুরু করে। তারা হাসপাতালে নেওয়ার পথে রানার জবানবন্দি নিয়ে আরেকটি ভিডিও বানায় যেখানে হত্যাকারী হিসেবে গ্রামের নিরীহদের নাম রয়েছে।

হত্যার মামলার আসামিরা জামিন পেয়েও বাড়ি যেতে পারছেন না। আবার জামিনপ্রাপ্ত কেউ কেউ চক্রটিকে ম্যানেজ করে বাড়িতে থাকার অনুমতি পাচ্ছেন। এদিকে ভাঙচুরের মামলার বাদী আয়শার স্বামী, দেবর ও চাচাশ্বশুরকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের সহায়তায় চক্রটি এসব অপরাধ করে যাচ্ছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

হত্যা মামলার বাদী মাসুদ মিয়া জানান, প্রতিপক্ষের কোনো অভিযোগের ভিত্তি নেই। হত্যার পরপর উত্তেজনার বশে একদিন কিছু ভাঙচুর হয়েছিল সত্য। তবে রানার চিকিৎসা নিয়ে তখন ব্যস্ত থাকার কারণে ভিডিওর বিষয়টি তাঁর জানা নেই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মিয়া জানান, হত্যাসহ দুটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব তাঁর। জাহাঙ্গীর মামলা করার পর একই অভিযোগে আয়শাও একটি মামলা করেন।

সত্যতা না পাওয়ায় সেটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। হত্যা মামলার একজন আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে, এর পর চার্জশীট দেওয়া হবে। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার জানান, এসপি স্যারের নির্দেশে মামলাটির সঠিক তদন্তের জন্য আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট