জীবিকা নির্বাহ জন্য ছোট একটি দোকান ছিলো। আগুনে পুড়ে ছাই।আমার শেষ সম্বল প্রায় এক লাখ টাকার মালামাল সহ দোকানটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমি নি:স্ব। আমার এক পা নেই,চোখে পুরাপুরি দেখতে পাই না।
এমন কান্না জড়িত ভরা কন্ঠে কথাগুলো বলছিলো প্রতিবন্ধি সেতাউর। সেতাউর আরও জানায় প্রায় পাঁচ মাস আগে আশ্রয় ও শক্তি ফাউন্ডেশন নামের দু্টি এনজিও থেকে এক লাখ টাকা কিস্তির তুলে দোকানে বেচাকেনা শুরু করেছিলাম। সেখান থেকে কিস্তির টাকা শোধ করতাম ও কোন রকমে সংসার চালাতাম। গত শনিবার রাতে আমার দোকানে কিভাবে আগুন লাগে বুঝে উঠার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সে দিন থেকে গ্রামবাসীর সাহায্যের চাউল ও সামান্য টাকা দিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছি। কথা গুলো বললেন শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের রানী বাজার এলাকার মুত হেরাস আলির ছেলে চোখ ও পায়ের প্রতিবন্ধী সেতাউল রহমান(৫৯)। তিনি আরো জানান, আমি গতকাল ৩ মার্চ আর্থিক সাহায্য জন্য একটি আবেদন করেছি। স্থানীয় জেম আলি ও মতিউর রহমান জানান সেতাউর রহমান খুব অসহায় ব্যক্তি। দোকানটিই ছিল তার একমাত্র সম্বল।
আমরা গ্রাম বাসী সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার পূর্ণবাসনের দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আজাহার আলি জানান. এই অসহায় ব্যক্তির পূর্ণবাসনের চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।