সিয়াম সাধনার রহমত, বরকত, ও নাজাতের মাস হিসাবে যুগযুগ ধরে প্রতিবারের মত এবারো বছর ঘুরে এসেছে মুসলিম উম্মার বড় নেয়ামত পবিত্র মাহে রমাজান।
সারা বছর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম জনসাধারণের নাগালের মধ্যে থাকলেও রমজানে এসে তা দ্বি-গুন বৃদ্ধি পায়। সেই বিবেচনায় সরকার বিগত কয়েক বছর ধরে আসন্ন রমজান মাসে ঢাকা সহ সারাদেশে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে খোলা বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির অংশ হিসাবে গাইবান্ধায় এই কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এর আগে আসন্ন রমজান মাসে রাজধানী ঢাকার ২৫টি স্থান সহ সারাদেশে সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে মানুষের পুষ্টির চাহিদা বিবেচনা করে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর তত্বাবধানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতায় সারাদেশে কার্যক্রমটির উদ্যোগ গ্রহনে জনমানুষের কাছে ব্যাপক আলোচনয়ায় এসেছে।
সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএফএ) এবং দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজন এবং প্রান্তিক খামারিরা।
সারাদেশের ন্যায় জেলা শহর গাইবান্ধার বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর তত্বাবধানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতায় সূলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রয়ের কার্যক্রম চলমান আছে। এই কার্যক্রম শেষ রমজান পর্যন্ত চলবে জানা গেছে।
এর আগে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় মনোহরপুর ইউনিয়নের গোডাউন বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম, দুধ এবং মাংস বিক্রয় এর কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তরুন কুমার দত্ত, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বর্মন সহ অত্র দপ্তরের কর্মচারী বৃন্দ।