পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার এই চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস নারী ধর্ষণ মামলার অগ্রগতি বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
তিনি জানান, শনিবার (৯ মার্চ) ভোর ৪ টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামের তাহিরুল ইসলামের ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়ে রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। এসময় তার সহযোগী আরও ২ জন পালিয়ে যায়। রিফাত বিন সাজ্জাদ বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।
পরে তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া দুইজন হলো রাণীগঞ্জ এলাকার ফরিদুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁওয়ের নামাজপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের পর সাজ্জাতকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এর পরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তিনি গত ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে রাধানগর কিসমত রেলস্টেশন এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণের পর, একে একে দু’স্তন , পরে গোপনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিলতিল করে চিরে, পরে রেললাইনে শুয়ে রাখে হত্যা করেছিল বলে স্বীকার করে। পুলিশ তার মোবাইলে হত্যাকাণ্ডের ছবিও উদ্ধার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আটোয়ারী থানার কিসমত রেলগেটের পশ্চিম পাশে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে ওই তরুণীর লাশ রেললাইনে রেখে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার রিফাত আদালতে ১৬৪ ধারায় ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী আরো বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর এখনো পরিচয় পাওয়া যায় নি। আমরা তার পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তবে তাকে নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিনাজপুর থেকে একতা এক্সপ্রেসে পঞ্চগড়ে আসার পথে ওই নারীর সাথে আসামির পরিচয় হয়। কিসমত স্টেশনে নেমে তাকে কয়েক স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারী বড় অঙ্কের টাকা দাবি করায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই নারী তার মাকে নিয়ে গালাগালি করলে তাকে হত্যা করে সাজ্জাদ।
এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।