ঢাকার সাভারে এক জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার পর সোনা ও নগদ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ বলছে, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে ‘দিলীপ স্বর্ণালয়ের’ সামনে এ হত্যা ও লুটের ঘটনা ঘটে। হামলায় অংশগ্রহণ করেন চারজন।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ দাস (৪৭)। তিনি পাথালিয়া ইউনিয়নের গুপিনাথপুর দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের ফুফাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, দিলীপ দাস প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে ব্যাগে করে টাকা ও প্রায় ২০ ভরি সোনা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দোকানের সামনেই পেছন থেকে ডাকাতদলের সদস্যরা ব্যাগ ধরে টান দেয়। তখন দিলীপ পেছনে ঘুরে তাকালে চাপাতি দিয়ে মুখে, বুকেসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে সোনার ব্যাগটি নিয়ে প্রাইভেট কারে করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, যাওয়ার সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাজারে আতংক সৃষ্টি করে। নিহতের স্ত্রী সরস্বতি দাস বলেন, তাদের বাসা থেকে দোকানের দূরত্ব এক কিলোমিটারের মতো। দোকান বন্ধ করে বাসার উদ্দেশে রওনা হতেই তিনি হামলার শিকার হন।
তিনি দাবি করেন, ব্যাগে সোনা ছাড়াও নগদ টাকা ছিল। তবে কী পরিমাণ টাকা ছিল, তা তিনি বলতে পারেননি।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান পারভেজ বলেন, “রাত ৯টা ৪৫মিনিটে ব্যবসায়ী দিলীপকে হাসপাতালে আনা হয়। তখন সে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল; তবে শ্বাস চলছিল।প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দিলীপের মৃত্যু হয়েছে। চাপাতির কোপে তার ফুসফুস মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পিঠেও গভীর ক্ষত ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নয়ারহাট বাজার পরিদর্শন করেছেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে আমরা দেখলাম, দিলীপ দাস যখন দোকান বন্ধ করে বের হচ্ছিলেন, তখন চারজন লোক পেছন থেকে আঘাত করে।
“তিনি ঘুরে দাঁড়ালে সামনে থেকেও আঘাত করা হয়। তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল; সেটি নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ধোঁয়া দেখা গেছে। মনে হয়েছে, তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।