তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ সন্দেহে স্ত্রী নিলা বেগম, তার ছেলে রাব্বি ও শ্যালক মানিক হাওলাদার মিলে জেলে আয়নাল মোল্লাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত আয়নাল মোল্লার ছোটভাই বেল্লাল মোল্লা এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার কবিরাজপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার রাতে। পুলিশ বুধবার বিকেলে শ্বশুর বাড়ী এলাকার রাস্তার ঢাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার তাতিপাড়া গ্রামের নাজেম মোল্লার ছেলে আয়নাল মোল্লা কবিরাজপাড়া গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের মেয়ে নিলা বেগমকে ২০০২ সালে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে তার স্ত্রী নিলা বেগম সৌদি আরবে যান। সৌদি গিয়ে স্ত্রী নিলা বেগম স্বামীকে তালাক দেয়। পরে আয়নাল মোল্লা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ২০২৩ সালে নিলা বেগম বাড়ীতে আসেন। বাড়ীতে আসার পর আয়নাল মোল্লার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তিনি তাকে ফুসলিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। পরে তিনি আয়নালকে পুনরায় বিয়ে করেন। কিন্তু স্ত্রী নিলার সন্দেহ স্বামী আয়নালের সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর যোগাযোগ রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আয়নাল মোল্লা ফকিরহাট এলাকায় একটি ট্রলারে সাগরে মাছ শিকার করে। মঙ্গলবার রাতে তিনি শ্বশুর বাড়ীতে আসেন। ওই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক দেয়া স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সন্দেহে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাকে স্ত্রী নিলা বেগম, ছেলে রাব্বি মোল্লা ও শ্যালক মানিক হাওলাদার নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের ছোট ভাই বেল্লাল মোল্লা। ভাইয়ের আরো অভিযোগ তাকে হত্যা করে রাস্তার ঢালে তারা ফেলে রেখেছে। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার বিকেলে শ্বশুর বাড়ীর পাশে রাস্তার ঢাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের ছোটভাই বেল্লাল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইকে তার স্ত্রী নিলা বেগম, ছেলে রাব্বি মোল্লা ও তার শ্যালক মানিক হাওলাদার হত্যা করে রাস্তার ঢালে ফেলে রেখেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করছি।
তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নিহত আয়নালের শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বরগুনা মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্য মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।