বিভিন্ন গণমাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড  বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,সেচ্ছাসেবকদলের নেতাদের নামে মিথ্যা সংবাদ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‎
‎রবিবার (২৩ মার্চ) বিকাল ৪ টার সময় আজগানা মাদরাসা বাজারে উক্ত এলাকাবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‎
‎আজগানা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডা. শরিফ হোসেন শাজাহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির তাতী বিষয়ক সম্পাদক মো. সোলায়মান কবির ও সদস্য মুনসুর রহমান খান,উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ সিকদার,ইউপি সদস্য নুরুল হক বিদ্যুৎ,উপজেলা জাসাসের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পলাশ,৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহর আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী হোসেন সিকদার, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব রাজীব সরকার ও ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম,ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রমূখ।
‎
‎এ সময় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‎স্থানীয় শহাদাত,ওমার খা,সুরুজ মিয়া সহ অনেকেই জানান,যুবদল নেতা মাসুদ সিকদারের আগে এই মাটি আরোও ৪ জনের কাছে বিক্রি করেছে আজাহার মিয়া।আর আজাহার ও তার স্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে এই মাটি কেটে দিয়েছে।এখন আজাহার কেন এমন বক্তব্য দিল তা আমাদের জানা নাই।
‎
‎এ সময় উপস্থিত বক্তৃতারা বলেন,গত ১৮ মার্চ উপজেলা সহ আজগানা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের নামে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সকলে মিলে আজকের এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন।গণমাধ্যমগুলো "পাওনা টাকা না দেয়ায় বাড়ির মাটি কেটে নিল যুবদল নেতা" এমন শিরোনামেই বেশিরভাগ নিউজ করেন। উক্ত তারিখে আমাদের পাশের এলাকা ভালুকাচালার আজাহার নামের এক ব্যাক্তি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাদের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা কথা বলে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানান উপস্থিত জনতা।তারা তাদের বক্তব্যে আরো বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য দেয়া অসৎ উদ্যেশ্য ছাড়া আর কিছুই না।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
‎
‎সেই যুবদল নেতা মাসুদ সিকদার তার বক্তব্যে বলেন, ৪ বছর আগে আজাহার ৫০ হাজার টাকার ইট নেয়। আরও কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে টাকা দিতে না পারায় বসতবাড়ির লাল মাটি বিক্রি করবে বলে জানান। এরপর ১২শত টাকা গাড়ি হিসেব করে ৮০ গাড়ি মাটি কাটি। আমি জোর করে মাটি কাটিনি। আজাহার নিজেই আমার কাছে মাটি বিক্রি করেছেন।আমার কাছে তার ডকুমেন্টস হিসেবে স্ট্যাম্প আছে।আমার বিরুদ্ধে এমন বক্তব্য উদ্যেশ্যমূলক ছাড়া আর কিছুই না।আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেই প্রতিপন্ন করার জন্যে এমন মিথ্যা সংবাদ অপপ্রচার করা হয়েছে। আমি এই বক্তব্য ও সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
‎