তালতলীতে ধান খেত দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো.আবদুল কাদের মুন্সী (৬০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো.আবদুল কাদের মুন্সি একই এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদ মুন্সির ছেলে।
জানাগেছে, উপজেলার কবিরাজপাড়া গ্রামের গনি হাওলাদারের দু্ই ছেলে নাসির হাওলাদার ও সিদ্দিক হাওলাদার তরমুজ চাষ করেছেন। তারা গোপনে তাদের তরমুজ খেত ও কাদের মুন্সির ধান খেত পেচিয়ে ইদুর নিধনে বিদু্যতের ফাঁদ পেতে রাখে। কৃষক কাদের মুন্সি শনিবার বিকালে তার ধান খেত দেখতে যাওয়ার পথে মাটিতে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তাঁরে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাতে ৮ টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়ী ফিরছিল না। পরে তার ছেলে তরিকুল মুন্সি বাবাকে খুঁজতে মাঠে যায়। ওইখানে গিয়ে তার মরদেহ মাঠে পড়ে থাকতে দেখে। বাবাকে ছোয়া মাত্রই তাকে বিদু্যৎস্পৃষ্ট করে। পরে বিদু্যৎ সংযেোগ বিচ্ছিন্ন করে তার স্বজন মহদেহ উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন । ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আইরিন আলম তাকে মৃতু্য ঘোষনা করেছেন।
নিহতের ছেলে তরিকুল মুন্সি বলেন, বাবা বিকেলে ধান খেত দেখতে গিয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। রাত ৮ টার দিকে আমি বাবাকে খুঁজতে ধান খেতে যা্ই। গিয়ে দেখি ধান খেতের মধ্যে বাবার মরদেহ পড়ে আছে। আমি বাবাকে ছোয়া মাত্রই বিদু্যৎ আমাকে সকট করেছে। তিনি আরো বলেন, সিদ্দিক হাওলাদার ও নাশির হাওলাদার তাদের তরমুজ খেতে বিদু্যতের সংযোগ দিয়ে রেখেছে। ওই তাঁরে পেরিয়ে আমার বাবা মারা গেছেন। আমি আমার বাবার হত্যাকারী সিদ্দিক হাওলাদার ও নাশির হাওলাদারের বিচার দাবী করছি।
নিহত কাদের মুন্সির চাচাতো ভাই মোহাম্মদ কবির হোসেন বলেন, বাড়ীতে একটি দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। ওই দোয়া অনুষ্ঠান শেষ করে ভাই তার ধান দেখতে যায়। রাত হলেও তার খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি সিদ্দিক হাওলাদার ও নাসির হাওলাদার ধান খেতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেখেছে। ওই তারে পেরিয়ে ভাই মারা গেছেন।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তালতলী জোনাল অফিসের প্রকেৌশলী মো.এমদাদুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমাদের জানা নেই । এ বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আইরিন আলম বলেন, কাদের মুন্সিকে হাসপাতালের আনার পুর্বেই মারা গেছেন।
তালতলী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, আমখোলা গ্রামে ধানক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষক মারা গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।