টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক নারীকে শ্লীলতহানি এবং মারধরের মামলায় চাঁদাবাজ বাদল মিয়া ওরফে বাঁধন (৩২) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপর চাঁদাবাজ ও এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী পিস্তল ওসমান (৩৫) পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার সরিষাদাইর এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে চাঁদাবাজ বাদল মিয়া ওরফে বাঁধনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ পিস্তল ওসমান পালিয়ে যায়।
আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মির্জাপুর থানা পুলিশ জানায়, ওসমান সিকদার ও বাদল মিয়া ওরফে বাঁধনের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসি অভিযোগ করেন সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভর ও শুভ এমপির পিতার নাতি পরিচয়ে বিএনপির দলীয় নিষেধ অমান্য করে আনারস মার্কায় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করা ভাওড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান খান সাইদের একান্ত ঘনিষ্টজন ছিলেন পিস্তল ওসমান ও চাঁদাবাজ বাদল মিয়া ওরফে বাঁধন । তার সঙ্গে সব সময় অবৈধ পিস্তল থাকে। তুচ্ছ ঘটনায় এলাকার লোকজনকে পিস্তল উচিয়ে ভয় ভিতি দেখায়। গত ১৩ এপ্রিল সরিষাদাইর গ্রামের মাছ বিক্রেতা শহিদুর রহমানের নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ওসমনা ও বাঁধনসহ তাদের সহযোগিরা। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিটসহ তার স্ত্রীকে শ্লীনতাহানি করে এবং তার পুত্র হাসানকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার ময়নাল হক এগিয়ে এলে তাকেও লাঞ্চিতসহ হত্যার হুমকি দেয় এবং হতে লোহার রড দিয়ে আঘাত কওে নিলাফুলা জখম করে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাঁধনকে গ্রেফতার করেছে। পালিয়ে যায় পিস্তল ওসমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা সূত্রে জানায়, পিস্তল উসমান সিকদার এইব্যাক্তি ২-৩ বছর আগে সরিষাদাইড় এলাকার এনজিউর মালিক ভজন কে পিস্তল ঠেকিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার স্টাম্প করেছিল। এ বিষয়ে কোর্টে মামলা হয়েছিল এবং সরিষাদাইড় এলাকার-ঠেটকু মিয়ার ছেলে নূরুল ইসলামকে এক মেয়েকে দিয়ে ঘরে আটকিয়ে প্রচুর মারধর করে জিম্মি করে ব্যাংক কার্ড ও পিন কোড নিয়ে ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছিল। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ হয়েছিল। প্রভাবশালীর কারনে মামলা ধামাচাপা পরে যায়।
তদন্তকারী অফিসার ছিলেন এস আই মাহফুজ। সরিষাদাইড় এলাকার রবি মেম্বারকে ভয় দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে। প্রান নাশের হুমকির ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। ভাওড়া ইউনিয়নের লিটন মেম্বারের নিকট চাঁদা চেয়েছিল ওতাকে লাঞ্চিত করেছিল। তদন্ত করলে আরও অনেক তথ্য বের হরে। বর্তমানে এলাকাবাসী আতঙ্কে আছে। বর্তমানে মাদক সেবনে ও বিক্রির সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, চাঁদাবাজ বাঁধন ও পিস্তল ওসমানের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ও একাধিক মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগি শহিদুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আরও একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মারধর ও নারীকে শ্লীনতাহানির অভিযোগে বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়। পিস্তল ওসমানকে গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।