স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে এই জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্হানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ,বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে একটি প্রভাবশালী মহল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মূল্যবান সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে।দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করে কবরস্থান ও খেলার মাঠ করে দেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশের মাথায় মহাসড়কের পাশে কালিয়াকৈর রেঞ্জ আওতাধীন কাশিমপুর বনবিটের ৫৩৬ নং মিরপুর মৌজার গেজেটভুক্ত বনভূমি ও ২০ ধারার গেজেটভুক্ত সরকারী সংরক্ষিত বনভূমির সি.এস দাগ-১৪২ ও১৮৮,তাহার আর.এস- ৩৩১,৩৩২ ও ৩৮১ দাগে বন বিভাগের ৩ একর ৩০ শতাংশ জমি রয়েছে। বন বিভাগের এই জমি দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছেন একটি প্রভাবশালী মহল। গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ও দোকানপাট। তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর।মূল্যবান এ জমি বেহাত হলেও জবরদখল ঠেকাতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন বিভাগ।
স্থানীয় আব্দুর রহমান জানান,বন বিভাগের ওই জমি দখল করে আব্দুল মজিদ নামের একজন ইট ভাটা করে ছিলেন।পরে সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ইটভাটা বন্ধ হয়ে যায়।পরে দীর্ঘদিন জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।পরে বনের জমিতে সেলিম শেখ নামের এক ঝুট ব্যবসায়ী গড়ে তুলেন ঝুটের গুদাম ও দোকানপাট। বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব মূল্যবান জমি বেহাত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম শেখ এর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
জবরদখলের বিষয়ে গাজীপুরের সহকারী বনসংরক্ষক ও কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিদুল হাসান শাকিল জানান,আপনি অনেক ভাল কাজ করতেছেন,বনভূমির জমি জবরদখলের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি,যেহেতু আপনি বিষয়গুলো আমাদের নজর আনতেছেন।এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই জবরদখলকৃত জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।