ফরিদগঞ্জে রেস্টুরেন্ট আড়ালে চলছে অশ্লীলতা । স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একান্তে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর জন্য এই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন। তার আড়ালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। আলো-আঁধারির মাঝে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করে গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্টেটি। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস চলাকালীন ‘ওয়েটিংয়ের’ নামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে এই স্থানে।
জানাযায়, উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া বাজারে রেস্টুরেন্ট ৯৯+ নামে এই রেস্টুরেন্টি বাহ্যিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। এসব রেস্টুরেন্টের ভিতরে কী আছে তার খবর কেউ রাখে না। রেস্টুরেন্টর ভিতরে ছোট ছোট কেবিন তৈরি করা। সেগুলোতে আবার পৃথক কাপড় আছে। ভিতর থেকে সে কাপড় আটকানো যায়। বাহির থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, এসবের ভিতরে কি হচ্ছে । প্রবেশদ্বারের মুখেই বড় কাউন্টার ডেস্ক এর পাশ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলে ছোট ছোট কেবিন। ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তব্যরত ম্যানেজার জানতে চাইবেন, স্যার কী কিছু খাবেন’? ‘কী আছে’ জানতে চাইলে তিনি বলবেন, ‘স্যার আপাতত নুডুলস আর কোল্ডড্রিংস ছাড়া কিছু নেই’।
ওই সব কেবিনে কারা বসে জানতে চাইলে তিনি জানায়, সাধারণত স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা কেবিন গুলোতে বসে গল্প করে। ‘ঘন্টার পর ঘন্টা কী কথা বলে তারা’ তিনি বলেন ১৫/১৬ বছর বয়সী বুঝেনতো। এখনকার তরুন তরুনীদের কথা জানেন না। এগুলোকি ঠিক এমন প্রশ্নে বলেন না স্যার, কথা বলার শব্দ শুনে কয়েক জোড়া তরুণ-তরুণীকে দ্রুত শরীরের কাপড় ঠিক করতে করতে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।
রেস্টুরেন্ট মালিক মহিন পাটওয়ারী মুঠোফোেনে বলেন, আমার রেস্টুরেন্ট এই ধরনে কোন কাজ হয়না। ছেলে মেয়েরা আসে কিছু সময় থেকে কিছু খেয়ে চলে যায়।
এই বিষয়ে বাড়ির মালিক আবুল বাসার বলেন, রেস্টুরেন্ট আড়ালে এই ধরনের কাজ চলে সেটা আমি জানতাম না। আমি এখন তালা মেরে দিচ্ছি।
গৃদকালিন্দিয়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ জামাল বলেন, আমাদের বাজার টিকে আছে এই স্কুল কলেজের জন্য।তার সামনে এই ধরনের এক রেস্টুরেন্ট করেছে যা আমাদের জানা ছিল না। তারা যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে তাহলে তাদের রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেব।
ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, এই ধরনের কর্মকান্ড যদি চলে থাকে তাহলে আমরা অভিযান করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, স্কুল-কলেজের সামনে এই ধরনের নোংরা কাজ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এসব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।