গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে দেবীগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় ৪২ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী রবিউল ইসলাম রুবেল নামে এক ব্যক্তি।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দেবীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম এমুকে। অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ, দণ্ডপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেপাল রায়, চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বুলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফরিদ হাসান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ মিঠু, দণ্ডপাল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন সাজু, সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দেশব্যাপী যখন সরকার পতন আন্দোলন তুঙ্গে তখন রবিউল ইসলাম রুবেল সাধারণ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিতে দেবীগঞ্জে আসার জন্য রওনা দেন। পথে করতোয়া সেতুর পশ্চিম পাড় সড়কে উপস্থিত হওয়ার পর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এমুর নেতৃত্বে রুবেলের ওপর হামলা করা হয়। এতে তার বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুবেলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে বাস চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় ঠাকুরগাঁওয়ে তিনি চিকিৎসা নেন। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন রুবেল। ঘটনার দিন দেবীগঞ্জ শহরে আরো অনেককে মারধর করা হয় বলে উল্লেখ করেন মামলার বাদী।
মামলা হওয়ার পর এজাহারে থাকা ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) সোয়েল রানা বলেন, “বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।„