টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ছয়টি ইটভাঁটা অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় প্রতিটি ইটভাঁটা মালিককের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ওই ইটভাঁটাগুলোতে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এই অভিযান। অভিযানকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সুত্রধর, পুলিশ এবং মির্জাপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্য ও মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, চলতি বছর পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না নিয়ে তিন ফসলি জমির ওপর অবৈধভাবে উপজেলার বহুরিয়া গ্রামে আরবিসি ব্রিকস, এমএসবি ব্রিকস, বাটা ব্রিকস, এইচইউবি ব্রিকস, গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামে সনি ব্রিকস ও বাইমাইল গ্রামে বিএন্ডবি ব্রিকস, রান নামে ৭টি নতুন ইটভাঁটা নির্মাণ করে ইট তৈরী ও পোড়ানো শুরু করে। এর প্রতিটি ইটভাটায় কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ একর আবাদী জমি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই অবৈধ ইটভাঁটার বিষয়টি জানতে পেয়ে ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে ওই ৭টি ইটভাঁটার ৬টিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমি প্রত্যেক ইটভাঁটার মালিককে চার লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। অবৈধ ভাঁটাগুলোর একাংশ ভেকু মেশিন দিয়ে ভেঙে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের মাধ্যমে পানি দিয়ে ভাটার আগুন নেভানো হয়। পরে ওই ইটভাঁটাগুলোতে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমি।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুুদুল হক বলেন, মির্জাপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাঁটাগুলো আগেই পরিদর্শন করে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ইনফোর্সমেন্ট শাখায় সুপারিশ পাঠানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয়টি ইটভাঁটায় অভিযান পরিচালনা করে চার লাখ করে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ভাঁটাগুলোতে ইট বানানো ও পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেন।