গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন জলকার হাসানকান্দি গ্রামের সবুজ শরীফের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্ধ্যেগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার মুল বর্ণনা তুলে ধরেন এলাকাবাসীর পক্ষে আবুল বাসার শরিফ ও সবুজ শরীফের নানী রুমি বেগম (৬৩)। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায় সবুজ শরীফ তার পুড়া পরিবার সহ ইতালীতে বসবাস করে। কয়েক দিন পূর্বে সে পারিবারিক কাজে একাই দেশে আসেন। গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে, আজম খান (৪৫), টিটু খান(৪২), সান্টু খান(২৮), উভয় পিতা নিছা খান। অনিক মোল্লা (২৮)পিতা-মিজান মোল্লা, মিজান মোল্লা (৫০) পিতা- মৃতু ইসলাম মোল্লা। সর্ব সাং শ্রীনদী। খোকন শেখ (৪৫),পিতা- বাদশা শেখ সাং কুচিয়ামোড়া,সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন মিলে দেশীয় অস্র সজ্জায় সজ্জিত হয়ে সবুজ শরীফের বাড়িতে এসে সবুজ শরীফকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এ সময় সবুজ তার ঘর থেকে বের হয়ে ওদেরকে গালি গালাজ করতে নিষেধ করিলে, আজম খানের নির্দেশে বাকী সবাই মিলে ফ্লীমি কায়দায় সবুজ শরীফের উপর ঝাপিয়ে পরে মার পিট করতে থাকে। এক পর্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় সবুজ মাটিতে লুটিয়ে পরে চিৎকার করিলে সন্ত্রাসিরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের চিনতে পারে। সবুজ শরীফের চিৎকার শুনে আশে পাশের বাড়ীর লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় সবুজ শরীফকে দ্রুত রাজৈর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন হসপিটালের চিকিৎসকগন সবুজকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে পাঠিয়ে দেন। সবুজের অবস্থার উন্নতি না দেখে তার আত্মীয় স্বজনরা আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য সবুজ কে ঢাকায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায় আজম খান সম্পর্কে সবুজ শরীফের চাচা শশুর। টাকা পয়সা ও পারিবারিক বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছিল। ঐ কারনেই হয়তো এই হামলা হইতে পারে।
রাজৈর থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ খানের কাছে হামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সে দৈনিক যায়যায় সময়কে বলে আমরা তদন্তে গিয়েছিলাম। সবুজ শরীফের নানী বাদী হয়ে ৬ জন চিহ্নিত ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামী ধরা পরেনি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য।