মনপুরার ৫ নং চরকলাতলীর ইনিয়নের কবির বাজারে এনজিও(সি ডি এইচ পি)এর রিং ও স্লাপ নেওয়াকে কেন্দ্র করেডিজে আলমগীরের হামলার স্মীকার হন আবুল কালামের নামে এক ব্যক্তি।
(২০ই ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০মিনিটের সময় মনপুরা উপজেলার ৫ নং চর কলাতলী ইউনিয়নের কবির বাজারে এনজিও (সি ডি এইচ পি)এর রিং ও স্লাপ বিতরণ হয়। রিং ও স্লাপ নিতে আসা জনসাধারণ সারিবদ্ধ ভাবে লিভ নিতে থাকে এ সময় ডিজে আলমগীর সিরিয়াল ভঙ্গ করে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আবুল কালাম তাকে বাধা দেয়। ডিজে আলমগীরকে বাধা দেওয়াই আবুল কালামের সাথে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে ডিজে আলমগীর, তার ভাই মঞ্জু ও রাশেদসহ বেশ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আবুল কালাম গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পঠায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান ডিজে আলমগীরের অত্যাচারে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। সে বিভিন্ন জনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না চর কলাতলীতে আমরা সবাই তার ভয়ে আতঙ্ক আতঙ্কগ্রস্থ। আহত আবুল কালাম বলেন আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
ডিজে আলমগীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কোনভাবে সম্পৃক্ত নয়।
ঘটনা সংবাদটি শুনে মনপুরা উপজেলা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির আমিনুল ইসলাম জসিম, মনপুরা উপজেলা বিএনপি’র (ভারপ্রাপ্ত) সেক্রেটারী মিলন মাতব্বর, রাজীব চৌধুরীসহ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাথে ছিলেন হাসপাতালে এসে আহত ব্যক্তিকে দেখতে আসেন। এ সময় উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির বলেন, “দুষ্কৃতিকারী যেই দলের হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।” উপজেলা বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) সেক্রেটারি বলেন, “কোন দুষ্কৃতিকারীকে ছাড় দেয়া হবে না সে যেই হোক না কেন।” উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, “আমরা এই দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করব এবং তাদেরকে আইনের সোপর্দ করব।” তিনি আহত আবুল কালামের পরিবারের প্রতি সমবেদনে জানান চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদান করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেল কবির বলেন, ” কলাতলী থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যে ব্যক্তি তার গান মাথার সামনের অংশে আঘাত ও ফুলা আছে, ডান চোখে আঘাত আছে এবং লিলাপুলা জখম আছে, রক্ত ঝরছিল, যেহেতু মাথায় আঘাত পেয়েছে তাই আমরা তাকে ২৪ ঘন্টা তদারকিতে রেখেছি বমি করে কিনা এরা জানার জন্য। এখন তার মুখের খাবার বন্ধ আছে, স্কাইনের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ২৪ ঘন্টা অতিবাহীত হওয়ার পরে বলা যাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া লাগবে কি লাগবে না।”
মনপুরা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, আমি ঘটনাটি শুনে আমার টিম হাসপাতালে পাঠাই আমার কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব।