টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক নিহত, তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা যায়।ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন মির্জাপুর থানা পুলিশ এবং ১ জনের ৭ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন ১. রুমেলা (৩৭),স্বামী- আনোয়ার ২. গোলবাহার (৫৫),স্বামী- মৃত সিরাজ উভয় সাং- হাতিবান্ধা পূর্ব পাড়া ৩. মো. জাফর (৩২),পিতা- মৃত রমিজ উদ্দিন সাং- ঘেচুয়া,সখিপুর টাঙ্গাইল।
এদিকে জাফর নামের ওই আসমির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকদল নেতা ফজল হক নিহত, তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও তার দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা যায়। রোববার সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।নিহত ফজল হক বংশীনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বাঁশতৈল ইউনিয়নের শ্রমিকদল নেতা। তিনি পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে ফজল হকের দাদি বংশীনগর মৌজায় তার নামে ৫৫ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। কিন্ত ওই জমিটি ভোগ দখল করছিলেন ফজল হকের ফুপাত ভাইয়ের ছেলে মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে পারভেজ। এদিকে ৪৫ বছর পূর্বের দলিল পেয়ে ফজল হক জমি দখল পেতে উদ্যোগ নেন।
তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাতাব্বরদের নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকও করেন। তাতে কোন সমাধান না পেয়ে সম্প্রতি আদালতে একটি মামলাও করেন। পরে জমির চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরাও দেন। অপরদিকে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পারভেজ ৬০ থেকে ৭০ জন লোকসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফজল হকের কাটা তারের ঘেরা উঠাতে গেলে ফজল হক বাধা প্রদান করেন। এসময় পারভেজ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ফজল হককে এলোপাথারি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ফজল হকের আত্মচিৎকারে তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম এগিয়ে, ছেলে মনিরুজ্জামান এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে আহত করেন পারভেজ ও তার লোকজন। আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় ফজল হক, তার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলাস্থ জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল যান।
ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বাদি হয়ে প্রধান আসামি পারভেজসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন।যার মামলা নাম্বার ৩০/২৫।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন জানান,আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি এবং ১ জন আসমির জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি।এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলমান।